আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তারিখ থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদিসহ অন্যান্য দেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সকল ডিজিটাল সেন্টার (ইউনিয়ন/সিটি/পৌরসভা) থেকে শুরু হবে। প্রতিবারের ন্যায় এবার অনলাইনে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় এবার ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আবেদন ফর্মটিhttp://infokosh.gov.bd/download-attachment/2664/1662 এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি পূরণ করে প্রত্যেক আবেদনের বিপরীতে ২০০ টাকা সোনালী ব্যাংকে ড্রাফট (মহাপরিচালক জনশক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরো বরাবর) করতে হবে। প্রতিটি নিবন্ধনের সাথে উক্ত ব্যাংক ড্রাফট উপ-পরিচালক, ডিইএমও অফিস বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদনের সকল কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে নিতে পারবে। যে সকল জেলায় ডিইএমও অফিস নেই সেক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। জেলা প্রশাসক উক্ত আবেদন ফর্মগুলো নিকটবর্তী ডিইএমও অফিসে জমা দিবেন।
সংযুক্তি দেখুন:
রেজিষ্ট্রেশন নির্দেশনা
Registration%20Instruction.pdf
ফরম
Sample_Registration_Form%20%283%29.pdf
ফরম পূরনের ম্যানুয়াল
Registration_User_Manual%20%281%29.pdf
জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠির কপি
Letter%20to%20DC%20for%20Saudi%20Registration.pdf
সুপর্ণা
প্রিয় উদ্যোক্তা,
কিছু বিষয়ে আপনাদের কোনো ভাবেই কোনো প্রকার দ্বন্দ ও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যদি আপনারা নিবন্ধন সর্ম্পকিত আমাদের পাঠানো নির্দেশনাটি ভালো ভাবে পড়ে নিয়ে কাজ করেন। আপনাদের অবগতির জন্য নির্দেশনাটি আমরা আবারো এখানে সংযুক্তি আকারে প্রদান করলাম। যেহেতু এবারে অন-লাইন নিবন্ধন হচ্ছেনা কাজেই কারিগরি সমস্যা হবার সম্ভবনা একেবারে নেই বললেই চলে। অন্যদিকে আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য যে হট-লাইন নম্বর গুলো প্রদান করেছিলাম সেখানেও আপনারা নির্দেশনা ভালোভাবে না পড়েই কেউ কেউ খুবই অযাচিত প্রশ্ন করছেন যার উত্তর নির্দেশনাতেই দেওয়া আছে। মনে রাখাবেন ১০০০০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাদের জন্য হট-লাইন নম্বর রয়েছে মাত্র ৩টি কাজেই তাদের অবস্থাটি একবার চিন্তা করুন। যাহোক নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে এবারে আপনাদের নিবন্ধনে সহায়তা করতে হবে।
১। এবারে অন-লাইন নিবন্ধন হচ্ছেনা কাজটি সকল জায়গা থেকেই অফ-লাইন বা হাতে লিখে ম্যানুয়ালি করা হচ্ছে।
২। ২০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট ছাড়া কোনো নিবন্ধন গ্রহনযোগ্য হবেনা। কাজেই ব্যাংকড্রাফট ছাড়া কোনো নিবন্ধনের ফরম জমা নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩। নিবন্ধন প্রত্যাশী ব্যাক্তিকেই নিবন্ধন ফরমের সাথে ব্যাংড্রাফট জমাদিতে বলুন। সেই ক্ষেত্রে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবেনা।
৪। ক্ষেত্র বিশেষে যদি আপনি ব্যাংক ড্রাফটের দায়িত্ব নেন তাহলে সেটির সকল দায়-দায়িত্ব আপনার।
৫। একটি রেজিঃষ্ট্রারে যত জনের রেজিঃষ্ট্রেশনের ফরম জমা নিলেন তাদের ঠিকানা সহ নামের তালিকা সংদ্রহে রাখুন। পরবর্তীতে ডি,ই,এম,ও অফিস/ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমাদানের সময় তালিকাসহ ফরম গুলো জমা দিন। ভবিষ্যতে নিবন্ধন প্রত্যাশী লোকেদের প্রশ্নের জবাব দিতে ও দলিল হিসেবে এই তালিকার একটি কপি নিজের সংগ্রহে রাখুন।
৬। প্রত্যেকটি ফরমের সাথে ব্যাংকড্রাফট সংযুক্ত আছে কিনা দেখে নিবন্ধন প্রত্যাশীদের ৩০০ টাকার রশিদ প্রদান করুন।
৭। কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন করবেননা এতে ডিজিটাল সেন্টার, এটুআই, বিএমইটি সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো কাজে আপনাদের অংশ গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এছাড়া কোনো প্রকার দূর্নীতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ত্বড়িত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৮। নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করুন এবং হট-লাইন নম্বরে আযাচিত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS